রবিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৈধ অস্ত্র পরিবহন, বহন ও প্রদর্শন করা যাবে না। স্বাভাবিক নিরাপত্তার পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে মোবাইলে টহল, গোয়েন্দা টিমসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করা হচ্ছে।
সভায় আরও জানানো হয়, নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সার্বিক সহযোগিতা করবে। পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, আনসার ও র্যাব প্রস্তুত থাকবে এবং দায়িত্ব পালন করে যাবে। ভোটকেন্দ্রসহ এর আশপাশের এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরাপত্তা বাহিনী ন্যাস্ত হয়েছে। ‘অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরাপত্তা বাহিনী তৈরি আছে। আশা করছি নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে সুষ্ঠু একটি নির্বাচন হবে।’
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র এখনও কোনোটাই মনে হচ্ছে না। ‘যদি থাকে নির্বাচন কমিশন থেকে তালিকা আসবে এবং সে অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে,’ বলেন তিনি।
নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা, নিরাপত্তা বাহিনী যেখানে যা প্রয়োজন, নির্বাচন কমিশন যেভাবে যা দেবে আমরা তৈরি আছি। আমাদের কিছু সুপারিশ নির্বাচন কমিশনকে দিচ্ছি। সে অনুযায়ী বাকি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিভিন্ন স্থানে কাউন্সিলর প্রার্থীদের হয়রানিমূলক গ্রেপ্তারের অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হয়ে গেছে এমন তালিকাভুক্ত আসামি ছাড়া পুলিশ কাউকে ধরছে না।’
বইমেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে যা কিছু প্রয়োজন সবকিছুর ব্যবস্থা রয়েছে। আনসার, পুলিশ, র্যাব যা প্রয়োজন হয় সব প্রস্তুত আছে। যদি প্রয়োজন হয় বিজিবিও প্রস্তুত থাকবে।’